ছাত্রকালে তাঁর কবিতা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল শেষকালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কবি
His poem was included in syllabus when he was a student, the poet rejected the Bangla Academy Sahityo Puroshkar in his last age
সেই সময়টা ছিল বাংলা সাহিত্যের কল্লোল যুগ। সিগমন্ড ফ্রয়েডের মনোবিজ্ঞান ও কার্ল মার্কসের চিন্তাধারায় প্রভাবিত প্রগতিশীল 'কল্লোল পত্রিকা'-র মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ১৯২৫ সালে এই 'কল্লোল পত্রিকা'-র তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় 'গ্ৰাম্য কবিতা' পরিচয়ে একটি কবিতা মুদ্রিত হয়। প্রকাশের পর পরেই সেই সময়ের বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মধ্যে রীতিমত সাড়া ফেলে দেয় কবিতাটি। পাঠকরা কবিতাটি খুব পছন্দ করেছিল। এই কবিতাটি সেই সময়ের বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্টজনেরাও খুব পছন্দ করেছিলেন। সাহিত্যের গুণমান এতোটা উচ্চ পর্যায়ের ছিল যে ১৯২৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কবিতাটিকে প্রবেশিকা পরীক্ষার পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
এই জনপ্রিয় কবিতাটি কে লিখেছেন? এই কবি খুব একটা পরিচিত ছিলেন না পাঠকমহলে। পাঠকদের কাছে অপরিচিত থাকাটাও অস্বাভাবিক ছিল না কারণ তিনি সেই সময়ের কোনো বিখ্যাত কবি নন। সেই কবি ছিলেন একজন সাধারণ ছাত্র। তিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে বি.এ. পাঠরত ছাত্র মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্লা যাকে পরবর্তীতে বাংলা চিনেছিল পল্লীকবি জসীমউদ্দীন নামে। ১৯২১ সালে 'মুসলিম ভারত' পত্রিকায় প্রকাশিত 'মিলন গান' ছিল জসীমউদ্দীনের প্রকাশিত প্রথম কবিতা। তবে তাঁর বৃহৎ পরিচিতি হয়েছিল 'কল্লোল পত্রিকা'-র মাধ্যমে।
কবি জসীমউদ্দীন (Image source: Wikipedia) |
কবি জসীমউদ্দীনের জন্ম হয়েছিল ১৯০৩ সালে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারী ভারতের তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্ৰামে তাঁর মামার বাড়িতে।কবির পিতা আনসার উদ্দিন মোল্লা ছিলেন শিক্ষক। তাঁর মায়ের নাম আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। ফরিদপুরের গোবিন্দপুর গ্ৰামে ছিল কবির বাবার বাড়ি। ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল থেকে তাঁর শিক্ষা শুরু হয়েছিল। ১৯২১ সালে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আই.এ. পড়াশুনা শেষ করেন। জসীমউদ্দীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি.এ. পাশ করেন ১৯২৯ সালে। ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি বাংলায় এম.এ পাশ করেছিলেন। বি.এ. পড়ার সময়ই তাঁর কবিতা 'কল্লোল পত্রিকা'-য় ছাপানো হয়েছিল 'গ্ৰাম্য কবিতা' নামে। পরবর্তীতে এই কবিতাটি ১৯২৭ সালে 'রাখালী কাব্য'-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এই কবিতাটিই আমরা পড়েছি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের 'কবর' কবিতা নামে।
ওইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
পড়াশুনা শেষ করে ময়মনসিংহ গীতিকার সম্পাদক দীনেশ চন্দ্র সেনের সঙ্গে জসীমউদ্দীন কাজ শুরু করেন গ্ৰাম বাংলার লোক সাহিত্য সংগ্ৰাহক হিসেবে। এখান থেকেই তাঁর 'পল্লীকবি' হবার যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি কাজ করেছেন। এর মধ্যে ১৯৩৩ সালে দীনেশ চন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ীর সহকারী গবেষক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি দশ হাজারের বেশি লোক সংগীত সংগ্ৰহ করেছিলেন। তিনি এই গানগুলি 'পূর্ব বঙ্গ গীতিকা'-য় সংকলন করেছিলেন। কিছু গান তাঁর সংকলিত 'জারি গান' এবং 'মুর্শিদ গান'-এ রয়েছে। তিনি বাংলার লোক সাহিত্যের ব্যাখ্যা করেছেন এবং গানের দর্শন দিকটিও তুলে ধরেছেন। ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৪৪ সালে তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন। এর পর কমলাপুরে নিজের বাড়িতেই তিনি বাকি সময়টা কাটিয়েছেন।
১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডে কবি জসীমউদ্দীন (Image source: Wikipedia) |
জসীমউদ্দীন বাঙালির কাছে কবি হিসেবেই পরিচিত। তাঁর কবিতায় গ্ৰাম বাংলার জীবন ফুটে উঠেছে। পল্লী গ্ৰামের কাছে তিনি যেন আপনজন। তাঁর সহজ সরল প্রাণবন্ত লেখায় বাংলার পল্লী সমাজের মানুষের জীবনযাত্রা উঠে এসেছে বারবার। তাঁর কবিতায় উঠে এসেছে সন্তানের প্রতি মমতাময়ী মায়ের মমত্ববোধ, স্নেহ ও ভালবাসা।
মা বলিছে, খোকন আমার! যাদু আমার মানিক আমার!উদয়তারা খোকন আমার! ঝিলিক মিলিক সাগর-ফেনার!
ফিনকি হাসি ক্ষণিকজ্বলা বিজলী-মালার খোকন আমার!
খোকন আমার দুলকি হাসি, ফুলকি হাসি জোছনা ধারার।
~মা ও খোকা, এক পয়সার বাঁশী
গ্ৰাম বাংলার সরস মাটি ও তাঁর কবিতা যেন মিলেমিশে গেছে। গ্ৰাম বাংলার পল্লী প্রকৃতি ও মানুষের জীবনকে সুন্দর সাবলীল ভাষায় তিনি কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতায় ব্যবহৃত অলংকরণ বা উপমা বাস্তবে মানব জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছিল বাংলার হৃদয়ের ভাষা। হয়তো এখনও কেউ তাঁর কবিতার মতো কোনো গোপালককে দূর থেকে ডেকে যদি বলে,
"রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক ফিরে চাও,বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?"
তাহলে হয়তো সেই রাখাল বালক উত্তর দিবে,
"ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁ,কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা,
সেথায় আছে ছোট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া,
সাঁঝ-আকাশের ছড়িয়ে-পড়া আবীর রঙে নাওয়া,
সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা
সেথায় যাব, ও ভাই এবার আমায় ছাড় না।"
সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
আমার সাথে করতো খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই,
সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।"
~রাখাল ছেলে
রূপা সাজু খায়নি খানা সাত আট দিন ধরে।
~নকশী কাঁথার মাঠ
কখনও আবার রাখাল ছেলে নিজের কল্পনার জাল বুনে বলবে,
"ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে,সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
আমার সাথে করতো খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই,
সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।"
~রাখাল ছেলে
পল্লী গ্ৰামের সাহিত্যের সংগ্ৰাহক হিসেবে তিনি বহু গান, কবিতা সংগ্রহ করেছিলেন। সেগুলিকে শহরের মানুষের জন্য উপযুক্ত করে সংকলন করেছিলেন। কোথায় দু-চার লাইনের গানকে তিনি সুরের সঙ্গে মিলিয়ে সম্পূর্ণ গান তৈরি করেছিলেন। কখনো পাড়া গাঁয়ের সাহিত্যের অশ্লীল অংশকে বাদ দিয়ে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মানুষের রুচিশীল করেছেন। পল্লী গ্ৰামের মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা তিনি অতি দরদের সঙ্গে সুযত্নে চিত্রিত করেছেন।
আষাঢ় মাসে রূপীর মায়ে মরল বিকার জ্বরে,রূপা সাজু খায়নি খানা সাত আট দিন ধরে।
~নকশী কাঁথার মাঠ
তবে শুধুমাত্র পল্লীকবি বলতে গেলে জসীমউদ্দীনের সঠিক মূল্যায়ন হবে না। কবিতা ছাড়াও তিনি নাটক, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, আত্মকথা লিখেছেন। তিনি বাংলায় আধুনিক কবিতার হাওয়া বইয়ে দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রযুগের কবি হওয়া সত্ত্বেও কবি জসীমউদ্দীনের নিজস্ব সত্ত্বা ছিল। তিনি সমাজে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দেশাত্মবোধক গান রচনা করেছিলেন। প্রতি ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের ছোঁয়া রেখেছেন।
ছোটোবেলা থেকেই জসীমউদ্দীন অসাধারণ কবিত্ব শক্তির অধিকারী ছিলেন। ছোটো থেকেই তিনি বড়ো হয়েছেন গ্ৰাম বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত দেখে যা তাঁকে কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। পাশ্চাত্য দুনিয়ায় ইউরোপে যখন আধুনিক সাহিত্য ধারার আন্দোলন চলছিল সেই সময় কবি জসীমউদ্দীন রচনা করেছিলেন 'নকশী কাঁথার মাঠ'। এটি ইংরেজিতে 'Field of the Embroidered Quilt' নামে অনুবাদ করা হয়েছিল। এটি অন্যান্য বহু ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। সারা বিশ্বের পাঠকদের কাছে 'নকশী কাঁথার মাঠ' খুব প্রশংসিত হয়েছিল। সাহিত্য অনুরাগীদের মতে নকশী কাঁথার মাঠ কবি জসীমউদ্দীনের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কর্ম। ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত সোজন বাদিয়ার ঘাট তাঁর অপর একটি বিখ্যাত কাব্যগ্ৰন্থ।
- কবি জসীমউদ্দীনের অন্যান্য কয়েকটি সেরা কাব্যগ্ৰন্থ হল - ধানখেত (১৯৩৩), এক পয়সার বাঁশী (১৯৫৬) মা যে জননী কান্দে (১৯৬৩), পদ্মা নদীর দেশে (১৯৬৯) প্রভৃতি।
- তিনি বেশ কয়েকটি নাটক রচনা করেছেন। যেমন: বেদের মেয়ে (১৯৫১), মধুবালা (১৯৫১), পল্লীবধূ (১৯৫৬), গ্ৰামের মেয়ে (১৯৫৯)।
- তাঁর লেখা আত্মকথা মূলক রচনাগুলি হল - যাদের দেখেছি (১৯৫১), ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায় (১৯৬১), জীবন কথা ( ১৯৬৪), স্মৃতিপট (১৯৬৪), স্মরণের সরণী বাহি (১৯৭৮)।
- তাঁর লেখা একমাত্র উপন্যাস বোবা কাহিনী যা ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
- জসীমউদ্দীন বিরচিত ভ্রমণ কাহিনীগুলি হল - চলে মুসাফির (১৯৫২), হলদে পরির দেশে (১৯৬৭), যে দেশে মানুষ বড় (১৯৬৮), জার্মানীর শহরে বন্দরে (১৯৭৫)।
- তাঁর গানের কয়েকটি বই হল - রঙিলা নায়ের মাঝি (১৯৩৫), গাঙের পাড় (১৯৬৪), জারি গান (১৯৬৮), মুর্শিদী গান (১৯৭৭)।
- জসীমউদ্দীনের লেখা অন্যতম গ্ৰন্থ হল বাঙালির হাসির গল্প। এই বইয়ের প্রথম খন্ড ১৯৬০ সালে এবং দ্বিতীয় খন্ড ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
- জসীমউদ্দীনের মৃত্যুর পর ডালিম কুমার প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে।
- জসীমউদ্দীনের কয়েকটি বিখ্যাত ভাটায়ালি গান হল – ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে, আমায় ভাসাইলি রে, ও আমার দরদী, নদীর কূল নাই, সাগর কূলের নাইয়া, কি বলবো সোনার চান রে।
সারা জীবনে বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন কবি জসীমউদ্দীন। কবর কবিতাটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবার পর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া । ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্টস এওয়ার্ড ফর প্রাইড অফ পারফরম্যান্স। ১৯৬৯ সালে ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাম্মানিক ডি.লিট. উপাধি পেয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদক দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। ১৯৭৮ সালে কবিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
কবি জসীমউদ্দীন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি কেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তার কারণ রয়েছে। যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে -
বাংলা একাডেমি পুরস্কার শুরুতেই অসন্তোষ ও বিতর্কের জন্ম দেয়। জসীমউদ্দীন সংগত কারণেই ক্ষুব্ধ হন। একাডেমি থেকে বলা হয়েছিল তিনি পুরস্কারের ঊর্ধ্বে, কিন্তু যুক্তিটি সমর্থনযোগ্য ছিল না। আরও বলা হয়েছিল ‘তাঁর বয়স বেশি, অপেক্ষাকৃত তরুণদেরই এ পুরস্কার প্রাপ্য। এ যুক্তিও একেবারেই খোঁড়া। আবুল মনসুর আহমদ ও মোহাম্মদ বরকতউল্লাহর বয়স ছিল তাঁর চেয়ে বেশি। জসীমউদ্দীন বাংলা একাডেমির ওপর সেই যে ক্ষুব্ধ হল আমৃত্যু তাঁর সেই ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তিনি বাংলা একাডেমিকে তাঁর কোনো বই বা রচনাবলি প্রকাশের অনুমতি দেননি।
একসময়ে বাংলা একাডেমির উপর মনঃক্ষুণ্ন হবার জন্যই হয়তো কবি জসীমউদ্দীন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কবি জসীমউদ্দীনের মৃত্যু হয় ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে ফরিদপুর জেলার আম্বিকাপুর গ্রামে তার দাদীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।কবির গ্ৰাম গোবিন্দপুরে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে জসীম মেলা নামে একটি পাক্ষিক উৎসব উদ্যাপন করা হয়। কবর কবিতার কবি এখন কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত।